ঝালকাঠি প্রতিনিধি: এক রকমের আলু শূন্য হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির বাজার। একদিকে আলুর চড়া দাম, অন্যদিকে সরকারের বেধে দেওয়া মূল্য নিয়ে দোটানায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে স্থানীয় আড়ৎ, বাজার ও খুচরা বিক্রির দোকানে আলু পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আলু পাইকারি যে দামে কেনা হচ্ছে, সেই দামে ক্রেতারা কিনতে চায় না। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানার ভয়ও রয়েছে তাদের মধ্যে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বেশি দামেও মিলছে না আলু। অভিযানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানে আলু উঠাচ্ছে না। এতে প্রায় আলু শূন্য হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির বাজার।
জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের আড়তদারপট্টির ১০-১২টি আড়তে আলুতে সয়লাব থাকতো। কিন্তু গত দুই দিন ধরে ঝালকাঠিতে মুন্সিগঞ্জ কিংবা বরিশাল থেকে আলু আসছে না। ব্যবসায়ীরাও আলু আনতে আগ্রহী না। সরকার ৩৫ টাকা খুচরা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে আলু না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্রেতারা।
কলাবাগান এলাকার রিকশাচালক মাসুম হোসেন বলেন, আমাগো গরিবের কাছে আলুই বড় তরকারি। বাজারের কোথাও আলু পাইনি। শুনেছি দুই এক দিনে পাবো না। অন্যান্য সব জিনিসেরই দাম বেশি।
আড়তদারপট্টির খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হুমায়ুন খন্দকার বলেন, আমাদের আড়তে মুন্সিগঞ্জ থেকে আলু আসে। বাজারের দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত মূল্যের মিল নেই। ৩৫-৩৬ টাকায় পাইকারি কিনে কত টাকায় বেচবো? অন্তত ৪০ টাকা বাজারে বিক্রি করলেও বিপদে পড়তে হচ্ছে। খুচরা বাজারে আরো বেশি দরে বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে ঝালকাঠির আড়ত, বাজার ও স্থানীয় দোকানে আলু নেই। দুই এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি বুঝে আলু উঠাবো।
শংকর ট্রেডার্সের মালিক শংকর সাহা বলেন, আলু ঝালকাঠিতে আসছে না। আমরা বিক্রিও করতে পারছি না। ক্রেতাদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা আলু দিতে পারছি না।